রাজশাহীর সময় ডেস্ক : বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা ,২৩ বছরেরে ওই তরুণী প্রথমে কী করবেন কিছু বুঝে উঠতে পারছিলেন না। পরে হাতে তুলে নেন হাতুড়ি। দুষ্কৃতী পালিয়ে যায় হাতুড়ির ঘা খেয়ে। বেঙ্গালুরুর ওল্ড এয়ারপোর্ট রোডের কাছে চিনাপ্পানাহাল্লিতে শুক্রবার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকাবাসীর মধ্যেও।
স্থানীয় পুলিশ বলছে, তরুণীর বয়ান অনুয়ায়ী, ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ এক যুবক লক ভেঙে তাঁর বাড়িতে ঢোকে। পেশায় সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ওই তরুণী ঘুমের মধ্যে লক ভাঙার আওয়াজে বেডরুম থেকে বেরিয়ে লিভিংরুমে এসে দেখেন বছর ৩০-৩৫ এর ওই যুবককে। স্বাভাবিকভাবেই চমকে যান তিনি। যুবকটি তাঁকে ভয় দেখিয়ে বলে একদম চুপচাপ থাকতে। বলে যে তার কাছে বন্দুক আছে, আর চিৎকার করলেই সে সেটা চালিয়ে দেবে। তরুণী তাকে ধাক্কা দিলে তরুণীকে দুষ্কৃতী চড় মারে ও ঘাড়ে হাত দিতে থাকে বারবার, শ্লীলতাহানির চেষ্টা করতে থাকে। সঙ্গে মারধোরও চলতে থাকে। ওই তরুণী চেঁচাতে থাকেন। আর মুহূর্তের সিদ্ধান্তে হাতের কাছে চেয়ারের উপরে থাকা হাতুড়ি নিয়ে যুবককে মারেন। তরুণীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। এর মধ্যেই যুবক তিনতলার বারান্দা থেকে লাফিয়ে পালিয়ে যায়।
উত্তর পূর্বাঞ্চলের ওই তরুণী গত প্রায় ৪ বছর ধরে চাকরির জন্য থাকছেন ওই এলাকায়। এমন অভিজ্ঞতা তাঁর আগে কখনও হয়নি। তাঁর বাড়িতে সিসিটিভি না থাকায় পুলিশের কাজ কঠিন হয়ে গেছে। তবে তরুণী দাবি করেছেন যুবক ইংরেজিতে কথা বলছিল। তার মুখ ঢাকা ছিল না, তাই তরুণী তাকে দেখলেই চিনতে পারবেন। আপাতত এই তদন্তে পুলিশের ভরসা ওই তরুণীই। এই ঘটনায় আরও একবার প্রশ্ন উঠল বেঙ্গালুরু শহরের নিরাপত্তা নিয়ে। দ্যা ওয়াল।
রাজশাহীর সময় ডট কম – ২১ জানুয়ারি, ২০১৯
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.